সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য বিক্রি হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে স্বল্পমূল্যে জমির উর্বর মাটি কিনে ইটভাটায় বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন।এতে জমির উর্বরতার শক্তি নষ্ট হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার বালুচর,লতব্দী,বাসাইল,কেয়াইন,চিত্রকোট ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়েছে। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বেকু লাগিয়ে মাটি উঠিয়ে অবাধে বিক্রি করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। আবাদি জমির ওপরের অংশ এক থেকে ১৫-২০ ফুট গর্ত করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। কৃষকের দারিদ্র্যতা ও অজ্ঞতাকে পুঁজি করে মাটি সংগ্রহকারী ও দালালরা অর্থের লোভ দেখিয়ে আবাদী জমির মাটি কেটে নিয়ে মহেন্দ্র করে ইটভাটায় বিক্রি করছেন।
সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভোধ চন্দ্র রায়ের ভাষ্যমতে, ‘জমির উপরি ভাগের দেড় থেকে দুই ফুট অংশের মধ্যেই মাটির মূল উর্বর শক্তি বিদ্যমান। কিন্তু ওই অংশটিই কেটে নেওয়ার ফলে জমির উর্বর শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে আগের মতো উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে কমপক্ষে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর এভাবে মাটি বিক্রি অব্যাহত থাকলে একসময় ফসল উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে বালুচর ইউনিয়নে কালাচান মাতবর,আলীম উদ্দিন চান্দ্রের চর মৌজায়,লতব্দী ইউনিয়নে সাবেক ৩ নংওয়ার্ডের মেম্বার সেন্টু মিয়া,জহিরউদ্দিন,আসাদ মাতবর খিদিরপুর মৌজায় ,বাসাইল ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর ঘোড়ামারা মৌজায়,কেয়াইন ইউনিয়নে কামরুজামান কামু বড় বর্তা মৌজায় এবং চিত্রকোট ইউনিয়নে ফুলহার গ্রামের শাহআলম,বাবুল,লেহাজ উদ্দিন,জয়নাল আবেদিন গোয়ালখালি মৌজার ফসলি জমি বেকু লাগিয়ে মাটি কেটে ইট বাটায় বিক্রি করছে ।
উজেলার মাটি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত চান্দ্রের চর গ্রামের কালাচান মাতবর বলেন, আমরা কোন সরকারী জায়গা কাটি না রেকডকৃত মালিকনা জায়গা ফুট হিসেবে কিনে নিয়ে যাঁদের মাটির প্রয়োজন তাঁদের কাছে বিক্রি করি ।’
সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.নজরুল ইসলাম আগামীর সময়কে জানান,‘আমি ফসলী জমিকাটার সংবাদ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’